স্বদেশ ডেস্ক:
গত কয়েক বছর ধরে ঈদ আনন্দের নামে ঢাকার দোহার উপজেলার বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে উচ্ছৃঙ্খল কিশোর। এদের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে গেছে পথচারী ও ঈদে ঘুরতে বের হওয়া যাত্রীরা। তারা ট্রাক, পিকআপ ভ্যান ও অটোরিকশা ভাড়া করে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ গানের সাথে তাল মিলিয়ে বেহায়াপনায় মেতে উঠে। এদের বেশির ভাগেরই বয়স ১৩ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। এদের জন্য সাধারণ যাত্রীদের ঈদ উদযাপনে বিঘ্নতা ঘটছে বলে অভিযোগ অনেকেরই।
গত কয়েক বছর ধরে লক্ষ করা যাচ্ছে, ধর্মীয় উৎসব, বাংলা নববর্ষের উৎসব এমনকি জাতীয় দিবসগুলোতেও উশৃঙ্খল ২৫ থেকে ৩০ জনের গ্রুপ বানিয়ে তারা এসব বেহায়াপনা প্রদর্শন করে। এ সময় বখাটেরা পরনের লুঙ্গি গেঞ্জি উচিয়ে ও সিগারেটের ধোঁয়া মুখে উড়িয়ে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গী করে, যা দেখতে কুরুচিপূর্ণ লাগে। মেয়েদের দেখলে তারা আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠে। সকাল থেকে রাত অবধি চলে এমন বেহায়াপনা। উচ্চ শব্দে গান বাজানোর কারণে নামাজের সময় অনেক অসুবিধা হয় বলে অভিযোগ করছেন মসজিদের মুসুল্লিরা। কিন্তু এ বিষয়ে প্রশাসনের উল্লেখ্যযোগ্য কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ে না।
এসব বখাটেরা যানবাহন থেকে যাত্রী ও পথচারীদের উদ্দেশে অনেক সময় পানির বোতল ছুঁড়ে মারে। মেয়েদেরকে দেখলে বাজে মন্তব্য করে। গত বছরও এরা একাধিক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে। এদের ভয়ে অনেকেই পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন নিয়ে কোথাও বের হওয়ার সাহস পাচ্ছে না।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এরা যখন তখন যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারে, যে কারণে পরিবার নিয়ে রাস্তায় বের হতে নিরাপত্তা পায় না।
অভিভাবকেরা তাদের সন্তানের খোঁজখবর না রাখায় দিন দিন কিশোর বয়সের বখাটেরা সর্বনাশা পথে পা বাড়াচ্ছে। এরা বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশ্বের হোসেন জানান, রাস্তায় জনগণের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যদি কোনো অন্যায় কাজ করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।